মোঃ আশরাফুল আলম, দিনাজপুর (ফুলবাড়ী) প্রতিনিধি।- ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি সদস্য মোঃ জাকারিয়া সরকার জাকিরের ভোট জালিয়াতি করে অন্যের পক্ষে ঘোষণা দেওয়ায় ও ভোট পুন:গণনার দাবিতে ঘন্টা ব্যাপি ফুলবাড়ী রাঙ্গামাটি মহাসড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলবাড়ী উপজেলার ২নং আলাদিপুর ইউপির ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী হিসেবে টিউবওয়েল মার্কা নিয়ে মোঃ জাকারিয়া সরকার জাকির নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি মানববন্ধনে বলেন, আমি গত ২৮/১১/২০২১ ইং তারিখে নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রাঙ্গামাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে এজেন্ট হিসেবে আমার পুত্র মোঃ মাহমুদ হাসান ভোট গণনা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু মোঃ সিরাজুল ইসলাম বৈদ্যুতিক পাখা নিয়ে ইউপি সদস্য প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। গণনকালীন সময় মাহমুদ হাসান এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। এছাড়া প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন পুখুরী স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক মোঃ হারুনুর রশিদ, তিনি জাকারিয়া সরকার জাকিরের এজেন্টকে বের করে দিয়ে প্রতিপক্ষ সিরাজুল ইসলামকে বিজয়ী করেন মর্মে অভিযোগ করেন টিউবওয়েল মার্কা প্রার্থী মোঃ জাকারিয়া সরকার জাকির। তিনি বলেন, আমি আমার ভোটকেন্দ্রের ভোটের পুন:গণনা দাবি করছি। কেননা আমি বিজয়ী হয়েছি আমাকে ঘোষণা না দিয়ে ভোট কারচুপি করে আমার প্রতিপক্ষ সিরাজুল ইসলামকে ৭২৫ ভোটে বিজয়ী করে এবং আমাকে ৫৯৬ ভোটে হারিয়ে দেয়। দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ হারুনুর রশীদ নিজেই ব্যালট পেপার বাছাই করে এবং প্যাকেট করে। এজেন মাহমুদ হাসান দেখতে চাইলে দায়িত্বরত এসআই তাকে মারার হুমকি সহ ভয়ভীতি প্রদান করেন এবং উপজেলায় ব্যালট দেখার কথা বলে। অবশেষে ব্যালট পেপার প্যাকেট করে উপজেলায় নিয়ে আসে। প্রিজাইডিং অফিসার ইচ্ছামত রেজাল্টসীট তৈরি করে এবং এজেন্টের কাছ থেকে জোর পূর্বক স্বাক্ষর গ্রহণ করে। আমি টিউবওয়েল মার্কা ইউপি সদস্য প্রার্থী মোঃ জাকারিয়া সরকার জাকির এজেন্টের কাছে এই ঘটনা শুনার পর ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মৌখিকভাবে জানাই এবং পুনরায় ভোট গণনা করার দাবি করি। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, উপজেলায় ভোট গণনার কোন নিয়ম নাই। এই ঘটনায় প্রার্থী মোঃ জাকারিয়া সরকার জাকির গত ২৯/১১/২০২১ ইং তারিখে ভোট পুন: গণনার দাবিতে জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।