রফিক প্লাবন, দিনাজপুর।- পুষ্টিসমৃদ্ধ শহর গড়ে তোলার অঙ্গীকারে দিনাজপুরে নিউট্রেশন ইন সিটি ইকোসিস্টেম (নাইস) প্রকল্পের ‘আইডেন্টিফিকেশন এন্ড ভেলিডেশন অফ নিউট্রেশন সেনসিটিভ ভেলু চেইন’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২১) সকালে দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে সিনজেনটা ফাউন্ডেশন ফর সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার বাংলাদেশ এর আয়োজনে এবং সুইচ এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট এন্ড কর্পোরেশন এর সহযোগিতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রাণীসম্পদ, মৎস্য ও কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থার ৩০ জন অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালার প্রথম পর্বে উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ও উদ্বোধন করেন দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মর্তুজা আল মুঈদ এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন বলেন, পুষ্টির দিক থেকে দিনাজপুর একেবারে সয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠেনি। এখনও দিনাজপুরের গর্ভবতি মহিলা, পাঁচ বছরের কম শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা পুষ্টির দিক থেকে দূর্বল অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের কাজ করতে হবে। আর আমাদের বেঁচে থাকলে হলে কিছু সুষম পুষ্টির প্রয়োজন। তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে পুষ্টি বিষয়ে কাজ করতে সিনজেনটা ফাউন্ডেশনকে আহবান জানান। তিনি বলেন, দিনাজপুরে ব্যাপক খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে কিন্তু তা কতটা স্বাস্থ্যকর বা পুষ্টিযুক্ত সে বিষয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তাহলে নগরায়ন বাড়বে, আর মানুষ সচেতন হবে। তিনি বলেন, মানুষকে খাদ্যাভাস ও খাদ্যের পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। এছাড়া শহরগুলোতে কিভাবে পুষ্টি নিশ্চিত করা যায় যে সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং দিনাজপুরকে পুষ্টিসমৃদ্ধ শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
কর্মশালায় প্রকল্পের পক্ষে কার্যক্রম উপস্থাপন করেন নিউট্রেশন ইন সিটি ইকোসিস্টেম (নাইস) প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মোশফেকুল আলম এবং পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডা. মোরতাহিনা রশিদ।
কর্মশালাটির প্রাণবন্ত সঞ্চালনা করেন সুবর্ণা ইসলাম এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ইএসডিও’র ফোকাল পারসন শাহ মো. আমিনুল হক।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের দুইটি শহর রংপুর ও দিনাজপুর শহরকে পুষ্টিসমৃদ্ধ শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে নিউট্রেশন ইন সিটি ইকোসিস্টেম (নাইস) প্রকল্প।
Leave a Reply