সুলতান আহমেদ সোনা ।- রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় বৃষ্টি শুরু হওয়ার সাথে সাথে ঠুঁসিজাল দিয়ে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলার আংরার ব্রিজ থেকে শুরু করে আঁখিরা নদীর ধাপেরহাট এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৩০টি ঠুঁসিজাল দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। নদীতে গর্ত থাকায় মৎস্য শিকারীরা রাতের বেলা এই ঠুঁসিজাল পেতে দেশি মাছের বংশ ধ্বংশ করছে। বলাই বাহুল্য ঠুঁসি জাল এমন একটি মাছ ধরার ফাঁদ যে ফাঁদে দেশি মাছের পোনা থেকে শুরু করে সাপ, কুঁচি, ব্যাঙ, সব ধরা পরে। এখন মাছের পেটে ডিম হচ্ছে, মা- মাছ রক্ষা করা দরকার কিন্তু পীরগঞ্জ উপজেলার একটি চক্র ঠুঁসিজাল পেতে সকল প্রকার দেশি মাছে ধরে বিক্রী করছে। উপজেলার জেলে সম্প্রদায় বজ্রকথাকে জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি চক্র সন্ধ্যার পর জাল পাতে আবার ভোরে ঠুঁসিজাল তুলে নিয়ে যায়। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করেছেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের উদাসীনতাই ঠুঁসিজাল বিস্তাররের প্রধান কারণ। মৎস্যজীবীরা বলেছেন, মৎস্য বিভাগের কোন কর্মকর্তা,কর্মচারী উপজেলা সদরে অবস্থান করেন না। তারা জানান অফিসের পিয়ন পর্যন্ত বাড়ী থেকে অফিস করেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মৎস্য শিকারীরা দেশি মাছ , বিশেষ করে মা মাছ মারছে। তারা আশংকা করছেন, পীরগঞ্জ উপজেলায় ঠুঁসিজাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ না হলে আগামী দিনে প্রাকৃতিক মাছ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তারা এব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
Leave a Reply