রংপুর থেকে কজ্রকথা প্রতিনিধি।- দু’টি কিডনি হারিয়ে অর্থের অভাবে নির্বাক হয়ে হাসপাতালের বেডে পড়ে আছেন মেধাবী ছাত্র রংপুরের বদরগঞ্জের কোরবান আলী এরশাদুল।পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের লালবাড়ি কচুবাড়ি গ্রামের আবু তাদের ও মঞ্জুয়ারা দম্পতির দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট কোরবান আলী এরশাদুল। সে একই উপজেলার লালবাড়ি কচুবাড়ি হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও দিনাজপুরের পাবর্তীপুর আদর্শ কলেজ থেকে কৃর্তিত্বের সাথে এইচএসসি পাশ করেছে। পড়া লেখার পাশাপাশি ফুটবল খেলাতেও পারদর্শী ছিল। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও ইচ্ছে ছিল ছেলেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও দশের কাজে আত্মনিয়োগ করবে। কিন্তু সব আশা আজ ধ্বংসের পথে। দু’টি কিডনী হারিয়ে সে এখন নির্বাক। কোরবান আলীর বাবা আবু তাহের জানিয়েছেন, গত বছরের মে মাসে হঠাৎ করে তার ছেলে বাড়িতে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নেয়া হয়। চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে জানান তার দুটি কিডনিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে,তাকে দ্রæত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাতে পরামর্শ দেয়া হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে রংপুরের হাসপাতালে ভর্তি করান হয়। ভর্তি করার আজ ১১ মাস চলছে। এই ১১ মাসে সংসারের যতটুকু সম্বল ছিল সব বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা করেছে পরিবার। এখনও কোরবানের চিকিৎসা চলছে।তিনি আরও জানান, চিকিৎসায় তার ছেলেন কোন উন্নতি হয়নি এজন্য চিকিৎসকরা বলেছেন, তাকে বাঁচাতে আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। এজন্য তাকে বিদেশে নিতে হবে। কিন্তু আমার যা ছিল সবই তো শেষ। এখন কিভাবে চিকিৎসা করাবো, কিভাবে বিদেশে নিবো সেটা ভেবে পাচ্ছি না।কোরবানের মা মঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, ছেলে এখনও বলে “মা আমি আবারও স্বাভাবিক জীবনে আসবো। তোমাদের সকলের মুখে হাসি ফুটাবো।” কিন্তু আজ আমরা নিঃস্ব। যা সহায় সম্বল ছিল তা সবই শেষ। এখন সকলের দোয়া ও সহযোগীতা তাকে সুস্থ্য জীবনে ফেরানো অসম্ভব। তাই ছেলের এমন করুণ দশা দেখে কোরবান আলী এরশাদুলের দিশেহারা মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। যারা সহযোগীতা করতে চান তারা নিম্ন লিখিত ফোন নম্বর ও বিকাশ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। বিকাশ নম্বর ০১৭৩৪-২৩৯-১৭৭ ও এসি নং ০৬৭১১২০১৬৬০৬৭ আল আরাফা ইসলামি ব্যাংক লিঃ বদরগঞ্জ শাখা, রংপুর।
Leave a Reply