ছাদেকুল ইসলাম রুবেল।- গাইবান্ধা সদর উপজেলায় টিসিবির পণ্য নিতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কিল-ঘুষিতে আহত হয়েছেন এক দিনমজুর। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মোজাহিদ ইসলাম (৪৫) রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বড় মহানন্দপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। তার স্ত্রী রুমা বেগমের নামে টিসিবির কার্ড রয়েছে। যার নম্বর-৩২১২৪৮১০০২১৫২।
ভিডিওতে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান মোসাব্বির পরিষদে থাকা বেশ কিছু লোকজনকে বের করে দিচ্ছেন। এ সময় গেটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা মোজাহিদকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে মোজাহিদকে ধাক্কা দিতে দিতে পরিষদ থেকে বের করে দেন।
আহত মোজাহিদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন হঠাৎ করে তার উপর হামলা চালায়। এসময় তিনি কিল-ঘুষ মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে পরিষদ থেকে বের করে দেন তিনি।
এদিকে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ঘটনার সময় এক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১২ সেকেন্ডেরে একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর মোজাহিদ জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির মালামাল দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বিকাল ৩টার দিকে সর্বশেষ প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ জন কার্ডধারীকে মাল দিতে সময়ক্ষেপণ করেন সংশ্লিষ্ট ডিলার। পরে চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন ও সংশ্লিষ্ট ডিলারের পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু বিকাল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও মাল পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে উপস্থিত কার্ডধারীদের মাঝে হৈ চৈ শুরু হয়। এতেই চেয়ারম্যান মোসাব্বির ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে মারধর করার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন বলেন, মোজাহিদুল ইসলামের নামে কোনো কার্ড ছিল না তবুও সে টিসিবির পণ্য নিতে এসে ঝামেলা করেছে। এ খবর পেয়ে আমি পরিষদে গিয়ে মোজাহিদুলসহ আরও বেশ কয়েকজনকে বুঝিয়ে পরিষদ থেকে বের করে দিয়েছি। কিন্তু কাউকে মারধর করিনি।
Leave a Reply