রফিক প্লাবন, দিনাজপুর।- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) নিরঞ্জন দেবনাথ বলেছেন, রোগীরা যাতে তাৎক্ষনিক সেবা পান এজন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরকার যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কারণ সরকার চায় স্বল্প খরচে কম সময়ে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌছে দিতে। আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে দেশের মানুষ চিকিৎসা ক্ষেত্রে সবগুলো সেবা ঘরে বসেই পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রোববার (১৩ মার্চ ২০২২) সকাল ১১ টায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী জোড়া ব্রীজ সংলগ্ন বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের অংশগ্রহণে সভা’য় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইনমাস দিনাজপুর এর পরিচালক ডা. বি কে বোস এর প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোমেনুল হক, ডায়াবেটিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. সফিকুল হক ছুটু, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত মজুমদার ডলার, জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ আছির উদ্দিন সরদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ সাজেদুর রহমান।
এসময় ডা. আইরিন পারভীন, ডা. সাহাব আহমেদ, ডা. আশুতোষ দেব, ডা. ফজলে এলাহি, ডা. সমীরণ কুন্ডু, ডা. সুইটি, ডা. খায়েরুল আলম, ডা. তানভিরুল হাসান, ডা. সাহেলী আরজুমান আরা এবং গলগন্ড, ক্যান্সার থেরাপি, সিটি স্ক্যানসহ অন্যান্য সেবা গ্রহীতারা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত সচিব নিরঞ্জন দেবনাথ আরও বলেন, রোগীদের গুণগত মানের সেবা প্রদানে ইনমাস দিনাজপুর অনন্য ভূমিকা পালন করছে। দিনাজপুরে অত্যাধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। এর ফলে রোগীরা এখানে স্বল্প খরছে কম সময়ে সংশ্লিষ্ট সকল পরীক্ষা করাতে পারছেন। এমনকি খুব কম সময়ে তারা রিপোর্ট পেয়ে যাচ্ছেন। এভাবেই ইনমাস দিনাজপুর তৃণমূল পর্যায়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তবে আপনারা যারা সেবা গ্রহীতারা আছেন, তারা এটাকে প্রচার করবেন। ফলে স্বল্প খরছে কম সময়ে পরীক্ষা করাতে রোগীরা উৎসাহিত হবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুব্রত মজুমদার ডলার বলেন, আমরা কোভিড-১৯ এর অতিমারি পরিস্থিতিতেও দেখেছি পরমানু শক্তি কমিশনের পরিচালকসহ এখানকার চিকিৎসকরা রোগীদের আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদান করেছেন। তবে সেবা গ্রহীতার তুলনায় এখানে চিকিৎসকের সংখ্যা একেবারেই অপ্রতুল। এ ব্যাপরে অতিরিক্ত সচিবের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি। এছাড়া তিনি বলেন, বর্তমানে দিনাজপুরে একটি এমআরআই মেশিনের অত্যন্ত প্রয়োজন। যেটি না থাকার কারণে রোগীরা সেবা নিতে অন্য জেলায় যাচ্ছেন। এতে তাদের সময় ও খরচ দুটোই বাড়ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. সফিকুল হক ছুটু বলেন, সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ও সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে সৌহার্দপূণ্য আচরণ থাকা প্রয়োজন। আর যেখানে স্বল্প খরচে কম সময়ে ভালো রিপোর্ট পাওয়া যায় তার প্রচার করাও প্রয়োজন।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত, পবিত্র গীতা পাঠ এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এর পর বর্তমান সরকারের সময়কাল ২০০৯ থেকে ২০২২ এর ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত ইনমাস দিনাজপুর এর উল্লেখ্যযোগ্য অর্জনসমুহ তুলে ধরেন পরিচালক ডা. বিকে বোস। এছাড়া তিনি চিকিৎসক প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তারা যেন প্রতিদিন অন্তত দুটি করে রোগী ইনমাস এ পাঠায় রিপোর্ট করার জন্য।
Leave a Reply