হারুন উর রশিদ ।- রংপুরের দুই উপজেলায় শিলা বৃষ্টিতে বোরো, ভূট্টা, পাটসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ২১১ হেক্টর জমিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এতে আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকরা। রংপুর কৃষি দপ্তর জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পীরগঞ্জ উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ১৫ টি গ্রামের হাজারো কৃষকের ফসলি জমি ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব গ্রামের কৃষকদের স্বপ্ন এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। উত্তর পশ্চিম থেকে আসা কালবৈশাখী ঝড়ে বড় দরগাহ্, শানেরহাট, পাঁচগাছি এবং মিঠিপুর ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হেক্টর জমির বোরো ধান, ৩ হেক্টর ভুট্টা, ৫ হেক্টর সবজিসহ শিলাবৃষ্টির কবলে পড়ে। বিশেষ করে বড় দরগাহ্ ইউনিয়নের গুর্জিপাড়া এবং শানেহাটের পার্বতীপুর গ্রামে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ তুলনামুলক অনেক বেশি হয়।পার্বতীপুর গ্রামের কৃষক ছায়েদ খান বলেন, আমার ৭ বিঘা জমির ধান শিলাবৃষ্টিতে ঝরে গেছে। এ ছাড়া সুপারির বাগানে গাছসহ সব ধরনের ফসলের জমিতে দুই থেকে তিন শত গ্রাম ওজনের শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান জানান, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে, আগামীতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার দুর্গাপুর ও সদর ইউনিয়নে ৩০ হেক্টর বোরো ধান, পাঁচ হেক্টর আমবাগান দুই হেক্টর ভুট্টা, ইমাদপুর ইউনিয়ন বোরো ধান, পাঁচ হেক্টর ভুট্টা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে কয়েকশ কৃষক আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েছেন।আশঙ্কা করা হচ্ছে, দুটি উপজেলায় এবার ফসলের উৎপাদন অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হবে। গত ১২ এপ্রিল রংপুরের মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ৯২ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ হেক্টর ধান ও ১২ হেক্টর জমিতে অন্যান্য ফসল রয়েছে।রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক কষিবিদ রিয়াজ উদ্দিন জানান , দুই দফায় ২২১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলার তিনটি ও মিঠাপুকুর উপজেলার ২টি ইউনিয়নে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অন্যান্য ইউনিয়নেও কিছু ফসলের ক্ষতি হতে পারে।
Leave a Reply