রংপুর থেকে প্রতিনিধি।- দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় রংপুরে প্রথম বারের মতো পাঁচ দিনব্যাপী (৯ থেকে ১৩ মার্চ) জাতীয় পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে জাতীয় পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদ রংপুরের আয়োজনে সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় পিঠা উৎসবের বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
জাতীয় পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাট্যব্যক্তিত্ব ম. হামিদ উদ্বোধন। জাতীয় পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদ রংপুর বিভাগের আহবায়ক বিপ্লব প্রসাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্রাচার্য্য, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, জাতীয় পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ্ আলম, রংপুর বিভাগীয় জাতীয় পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদ রংপুর বিভাগের সদস্য সচিব আশরাফুল আলম আল আমিন, রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
এসময় জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ রংপুর বিভাগীয় সদস্য ও রংপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুব রহমান, জেলা কালচারাল অফিসার নুসরাত তাবাসসুম, নাট্যজন সিরাজুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাখাওয়াত হোসেন রাঙা, রাজ্জাক মুরাদ, মনজিল মুরাদ লাভলু, সদস্য রেজাউল করিম জীবন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে নগরীর টাউন হল চত্বরে নবনির্মিত শিল্পকলা একাডেমি ভবনের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড কমে যাওয়ায় মৌলবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এদের প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন উৎসবের মাধ্যমে সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মুজিব বর্ষে সারাদেশের ৪৯৫টি উপজেলায় সাংস্কৃতিক উৎসব হয়েছে। আমরা প্রত্যন্ত এলাকায় সাংস্কৃৃতিক কর্মকান্ড বিস্তারের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রংপুর হচ্ছে সংস্কৃতির তীর্থভূমি। এখানকার ভাওয়াইয়াসহ বিভিন্ন গান, নাটক, সংস্কৃৃতি চর্চা আমাদের সমৃদ্ধ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত শত বছরের সাংস্কৃৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ করতে রংপুরে ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন শিল্পকলা একাডেমি ভবন নির্মাণ করার আদেশ দেন। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।’ এসময় তিনি আরোও বলেন, রংপুর অঞ্চলের ভাওয়াইয়া চর্চা বৃদ্ধি, গবেষণা ও সারাদেশে ভাওয়াইয়ার সুর পৌছে দিতে প্রতি বছর কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়া উৎসব হচ্ছে। রংপুরে প্রথমবারের মতো বিভাগীয় পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। এসময় রংপুরের সরকারী দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকতা, প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, পিঠা উৎসব পরিষদের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply